দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে তিন দিন ধরে চলা ধর্ম সংসদে সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আর ঘৃণা উগরে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এমনই কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যা দেখে চারদিকে এখন নিন্দার ঝড়। পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ারও দাবি উঠেছে। এই ধর্ম সংসদের আয়োজন ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত হয়েছিল। যেখানে অনেক ধর্মীয় নেতা ছাড়া বিজেপির অশ্বিনী উপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে, তিনি জোয়ালাপুর থানায় এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আরও লিখেছেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে আয়োজক ও বক্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের না হলে, বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করা হবে।”
উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানের আয়োজন ইয়েতি নরসিংহানন্দ-র তরফ থেকে করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে হিন্দু রক্ষা সেনার সভাপতি স্বামী প্রেমানন্দ গিরি, স্বামী আনন্দস্বরূপ, সাধ্বী অন্নপূর্ণা প্রধান বক্তা হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। শেষের দিনে বিজেপির নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। যদিও, তিনি এসব থেকে দায় ঝেড়ে বলেছেন যে, ‘আমি ওখানে মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য ছিলাম, আর জানি না ওখানে কী বলা হয়েছে।”
যদিও ইউটিউবে এই সম্মেলনের অনেক ভিডিও রয়েছে। অনেক ভাষণ আবার লাইভও দেখানো হয়েছে। সাধু সন্ন্যাসীদের সেই উস্কানিমূলক ভাষণে বলা হয়েছে যে, দেশে যেভাবে মুসলিমদের জনসংখ্যা বাড়ছে, এমন চলতে থাকলে ২০২৯ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী কোনও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ হবেন। পাশাপাশি হিন্দুদের সতর্ক করে বলা হয়েছে যে, আগেভাগেই এর প্রস্তুতি নিতে হবে। মোবাইল কেনার আগে হিন্দুদের আগ্নেয়াস্ত্র কেনার ডাক দিয়েছেন সাধু সন্ন্যাসীরা। ভারতকে হিন্দু সন সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বানাতে মুসলিম গণহত্যারও ডাক দিয়েছেন তারা।
উত্তরাখণ্ডের পুলিশ এই বিষয়ে ট্যুইট করে জানিয়েছে যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ম বিশেষের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার জেরে ওয়াসিম রিজভি (জিতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগী) এবং অন্যদের বিরুদ্ধে হরিদ্বার কোতওয়ালিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা 153A অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভালোবাসার পক্ষে থাকুন, নিবিড়-এর সঙ্গে থাকুন
