বহুদিন পর সন্তান বাড়ি ফিরলে মা তাকে জড়িয়ে ধরেন। কিংবা হাজার কথা কাটাকাটির পর যখন সব ভুল বোঝাবুঝি মিটে যায়, ভালোবাসার মানুষটিকে কাছে টেনে জড়িয়ে ধরেন অপরজন। আজ তাই পরিচয় করাব এক অন্য ধরনের আলিঙ্গনের সঙ্গে। যেটা শুনে আপনার মনেও একটা মিষ্টি ভালোবাসার পরশ লাগাই স্বাভাবিক।
আরো পড়ুন : টাকা ছাড়াই খাবার মিলবে হোটেলে, শর্ত একটাই
মাত্র পাঁচ মাস বয়স ছিল তার। একদম একা, অনাথ। কোনও সহায়-সম্বল নেই। কিন্তু খারাপ অবস্থা কি সবার সবসময় থাকে? একসময় সেই অনাথ খুঁজে পায় ঘর। সেখানেই সে আশ্রয় পায়। বড়ো হয়ে ওঠে, কিন্তু সে ভোলেনি তার উদ্ধারকারীদের। প্রতিদিন তার অন্যতম প্রধান কাজ, তাঁদের গিয়ে একবার অন্তত জড়িয়ে ধরা।
এতক্ষণ যার কথা বলা হচ্ছিল, সে কোনও মানুষ নয়, একটি ক্যাঙ্গারু। ওপরের গল্পটি অস্ট্রেলিয়ার ক্যাঙ্গারু স্যাঙ্কচুয়ারির বাসিন্দা ‘কুইন অ্যাবি’-এর। অভয়ারণ্যে তার জন্য বিশেষভাবে যত্নও নেওয়া হয়। প্রায় এক দশক ধরে অভয়ারণ্যের লালন পালনেই একটু একটু করে বড়ো হয়েছে অ্যাবি। এখন তার বয়স ষোলোর কোঠায়। প্রাপ্তবয়স্ক এক নারী ক্যাঙ্গারু সে।
আরো পড়ুন : বিশ শতকের সবথেকে দুর্ধর্ষ ডাকাতি
তার এই তিলে তিলে বড় হওয়ার পথে যে মানুষগুলো তাকে আগলে দেখভাল করেছে তাদের ভোলেনি সে। তাই সেই ত্রাণকর্তাদের দেখতে পেলেই ছুট্টে গিয়ে দেয় জাদু কি ঝাপ্পি। আর একদিন বা দু’দিন নয়। নিয়মমাফিক প্রতিদিন সকালে উঠেই উদ্ধারকারীদের কাছে গিয়ে জড়িয়ে চুপটি করে দাঁড়িয়ে থাকে সে বেশ কিছুটা সময়। বাঁচানোর জন্য কৃতজ্ঞতাটা হয়ত এভাবেই পূরণ করে সে।
ভালোবাসার পক্ষে থাকুন, নিবিড়-এর সঙ্গে থাকুন
