আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। হিন্দু পুরাণেই ধর্ষণের উদাহরণ পাওয়া যায়, এমনই দাবি করেছিলেন ড. জিতেন্দ্র কুমার নামের ওই অধ্যাপক।
মেডিক্যালের এক বিভাগে পড়াতে গিয়ে জিতেন্দ্র একটি প্রেজেন্টেশন তৈরি করেন। সেখানেই তিনি হিন্দু পুরাণ থেকে ধর্ষণের উদাহরণ দিয়েছিলেন। সেই স্লাইড দেখে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ তোলেন ছাত্র এবং শিক্ষকদের একাংশ। যদিও ঘটনার পরে নিঃশর্ত ভাবে ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত অধ্যাপক। তিনি বলেছেন, ‘আমি কোনও ধর্ম বা কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়কে আঘাত দিতে চাইনি। আমার এই প্রেজেন্টেশনের উদ্দেশ্য ছিল সকলকে বোঝানো, যে ধর্ষণ বহুদিন ধরেই আমাদের সমাজে রয়েছে।’

আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ‘তাঁর এই প্রেজেন্টেশন ছাত্র, কর্মচারী এবং নাগরিকদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর থেকে জবাব তলব করা হয়েছে।’ ঘটনার বিশদ তদন্ত করার জন্য ইতিমধ্যেই দুই সদস্যের তদন্তকারী দল তৈরি করা হয়েছে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। যতদিন পর্যন্ত তদন্ত শেষ না হয়, ততদিন পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়েছে ড. জিতেন্দ্র কুমারকে।

ভালোবাসার পক্ষে থাকুন, নিবিড়-এর সঙ্গে থাকুন
