করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখন নাজেহাল গোটা দেশ। এই প্রথমবার দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্ত হলেন লক্ষাধিক। মৃতের সংখ্যা প্রায় পাঁচশো ছুঁইছুঁই। বিশেষজ্ঞদের কথায়, নিজেদের উদাসীনতার ফলই ভুগছে আমজনতা। অন্যদিকে, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে কম কোভিড জয়ীর সংখ্যা। আগেরবার এক লাখের আগেই থমকে গিয়েছিল। কিন্তু এবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা টপকে গেল এক লাখের গণ্ডি। যা গত বছর ৩০ জানুয়ারি ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২,৫৮৯,০৬৭। স্রেফ গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৩,৫৫৮ জন নতুন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। টানা কয়েকদিন উর্ধ্বমুখী সংক্রমণের পর ১৬ সেপ্টেম্বর ৯৭,৮৯৪ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। তারপর থেকে ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছিল সেই সংখ্যাটা। কিন্তু নয়া বছরের কয়েকদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই সেই সংখ্যাটা আবারও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেই রেশ ধরেই এপ্রিলের প্রথম সোমবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল এক লাখ।
এদিকে চোখ রাঙাচ্ছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪৭৮ জনের। দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ১০১ জন। প্রথমবারের মতো এবারও সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে সেই মহারাষ্ট্র। পরিস্থিতি সামাল দিতে জারি হয়েছে নাইট কারফিউ। বিহারে ১০ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ স্কুল। ওড়িশায়ও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। তবে আমজনতার হুঁশ ফেরেনি। যথারীতি কোভিডবিধি ভাঙাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফল ভুগতে হতে পারে আমাদের সকলকেই।
নিবিড় ডেস্ক
