“Respect for food is a respect for life, for who we are and what we do.”
খাদ্যবর্জ্য, সোজা কথায় খাবার তৈরির পর থেকে যাওয়া সবজির খোসা, ডিমের খোলা, মাছের আঁশ ইত্যাদি ফেলে না দিয়ে কাজে লাগিয়ে নেওয়া যায় সহজেই। প্রতি বছর গৃহস্হালি থেকে যে বিশাল খাদ্যবর্জ্য আবর্জনা হিসেবে ফেলে দেওয়া হয় তাকেই সুচারু করে তোলারই নাম হল ফুড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট।
ইউএনডিপির তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর শুধুমাত্র সাধারণ গৃহস্হালি থেকেই খাদ্যবর্জ্য ফেলা হয় ৯৩১ মিলিয়ন টন। খাদ্যবর্জ্য তালিকার শীর্ষে আছে নাইজেরিয়া (১০৪ কেজি প্রতি ব্যক্তি প্রতি বছর)। আমেরিকাও এই তালিকায় পিছিয়ে নেই ( ৫৯ কেজি প্রতি ব্যক্তি প্রতি বছর), তবে ভারতবর্ষে এই হার কিছুটা কম (৫০ কেজি প্রতি ব্যক্তি প্রতি বছর)। খাদ্যবর্জ্যকে নিচের উপায়ে কাজে লাগানো যায় –


কম্পোস্ট – কয়েকটি দেশে ‘কম্পোস্ট হুইল’ পাওয়া যায়। যাতে তরকারির খোসা, ডিমের খোলা প্রভৃতি জমিয়ে রাখা হয়। সেগুলি পচিয়ে জৈব সার হিসেবে ‘কিচেন গার্ডেনে’ দেওয়া হয়। কম্পোস্ট হুইল ছাড়া গর্ত করে অথবা প্লাস্টিকের বালতিতেও কম্পোস্ট করা সম্ভব।

ভেজিটেবল স্টক/ ব্রোথ – একটি জিপলক ব্যাগে একমাস ধরে পেঁয়াজ, রসুনের খোসা, আদার খোলা, ধনেপাতার গোড়ার অংশ, গাজরের খোসা (vegetable scrap) জমিয়ে ফ্রিজে রাখতে হবে। এবার একটি পাত্রে জল গরম করে তাতে ঐ ভেজিটেবল স্ক্র্যাপ দিয়ে ফোটাতে হবে ৩০ মিনিট। এরপর স্টক ছেঁকে আইস কিউব ট্রেতে বা এয়ারটাইট পাত্রে রাখতে হবে। এই স্টকটি যেকোনো স্যুপ বা গ্রেভিতে ব্যবহার করা যায়। এই স্টকের পুষ্টিমূল্য খুবই বেশি।

ডিমের খোলার সার – ডিমের খোলায় প্রচুর ক্যালশিয়াম থাকায় এটি সার হিসেবে খুবই উপযোগী। ডিমের খোলা ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর হামানদিস্তায় গুড়িয়ে পাউডার করে গাছের গোড়ায় দিতে হবে।
এইভাবে খাদ্যবর্জ্যকে পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব।
অন্বেষা সেনগুপ্ত
