২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাম-কংগ্রেসের প্রথম ব্রিগেড সমাবেশ হয়ে গেল কাল। যদিও ব্রিগেডের মঞ্চে কয়েক মুহূর্তের জন্য হলেও কাটে জোটের তাল। সমাবেশের মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তখনই সভাস্থলে আসেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন আইএসএফের কর্মী ও সমর্থকরা। বক্তব্য থামিয়ে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। পোডিয়াম থেকে সরে যেতে চান অধীর। যদিও, তারপর বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের কথায় বক্তব্য শেষ করেন তিনি।
আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের টানাপোড়েন চলছিলই। রবিবার ব্রিগেড সমাবেশে তা সামনে চলে এল। এসব নিয়েই জোটের সাফল্য কতদূর হতে পারে তা প্রশ্নসাপেক্ষ। তবুও গতকাল সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ঘুরতে থাকা ব্রিগেড সংক্রান্ত একটি কভারেজের ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, বিবিসি এই ব্রিগেডটিকে বিশ্বের বৃহত্তম শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাবেশ হিসাবে আখ্যা দিয়েছে, এবং অনেকেই এটির সত্যতা যাচাই না করেই শুধুমাত্র বিবিসির মতো একটি প্রতিষ্ঠানের লোগো দেখেই তা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে যথেচ্ছ শেয়ার করে দিয়েছেন।
এই ছবি কতটা বিশ্বাসযোগ্য তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, প্রথমত, এটি যদি বিবিসি টেলিভিশনের ওয়ার্ল্ড সারভিসের করা কভারেজ হতো, তাহলে তার লিঙ্ক থাকার কথা ছিল তাদের ওয়েবসাইটে, তবে যা কাল রাত অবধি তাদের সাইটে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, বিবিসির ভারতীয় শাখা ইংরেজিতে ব্রেকিং নিউজ দেখায় না| দ্বিতীয়ত, ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে ‘GATHERING’-এর বানান লেখা রয়েছে ‘GEATHERING’, বিবিসির মতো সংস্থার এরূপ ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে এটি সম্ভবত ফেক নিউজ বলেই মনে করছেন একাংশ।
ফেক নিউজ আজ সমাজের অন্যতম বড় বিপদ। সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইন মিডিয়ার বাড়বাড়ন্তে যে কোনও তথ্য শেয়ার করাটা এখন অতি সহজ। কিন্তু, সমস্যা তৈরি হচ্ছে যখন কোনওভাবে সেই তথ্যের সত্যতা যাচাই না করেই তা শেয়ার করা হচ্ছে, কারণ অসংখ্য ভুল তথ্য এভাবেই সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে। তথ্যের সত্যতা বোঝার আগেই তাকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে উন্মাদনা। এর প্রভাব পড়ছে সমাজের সবস্তরে।
